- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তের চাণ্ডেল জেলার পারাওলন ও সংলগ্ন গ্রামগুলো এখন প্রায় জনশূণ্য

সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, তথ্য ও ছবিসূত্র : CORE MANIPUR এর ফেসবুক পৃষ্ঠা#

ছবিসূত্র : CORE MANIPUR এর ফেসবুক পৃষ্ঠা
জনশূণ্য পারাওলন গ্রাম। ছবিসূত্র : CORE MANIPUR এর ফেসবুক পৃষ্ঠা

১২ জুন মণিপুর মানবাধিকার কর্মী দেবব্রত রায় লাইফুঙবাম পারাওলন গ্রাম সরেজমিনে ঘুরে এসে জানাচ্ছেন, ‘এখানকার অনেক গ্রাম মূলত: জনমানবশূণ্য হয়ে গেছে। পারাওলন গ্রামে কোনো মানুষ নেই। শুধু কিছু কুকুর, বিড়াল আর মুর্গি পড়ে আছে। তেংনৌপাল থেকে পারাওলন গ্রাম গাড়ি চালিয়ে যাবার পথে আমরা মাত্র ছ’জন মানুষের মুখোমুখি হয়েছি। মণিপুরের ট্রাইবাল জনগোষ্ঠীগুলির বিশাল অংশ পারাওলনে ৬ ডোগরা রেজিমেন্টের ওপর ৪ জুনের হামলার কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভ্যানিশ হয়ে গেল! এই মানুষগুলোর জন্য আমি চিন্তিত, কোথায় তারা? এবং ভারতীয় বাহিনী এর বিন্দুবিসর্গ জানেনা। আর মণিপুরের সরকারের তো এসব বিষয়ে কোনো চিন্তাই নেই। …

‘যেখানে অ্যামবুশ হয়েছিল ৪ জুন, জায়গাটি পারাওলন গ্রাম থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে। সেখানে দেখলাম ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬ ডোগরা রেজিমেন্টের ঘাঁটিটি এখনো আছে। সেপাইটিকে দেখা গেল, মলিন ইউনিফর্ম, ক্যানভাস জঙ্গল বুট যা ইম্ফল বাজারেই কিনতে পাওয়া যায়, আর মান্ধাতার আমলের ছোট্ট অস্ত্র। এমনকি আমাদের মণিপুরী পুলিশের হাতে এর থেকে ভালো অস্ত্র থাকে। যে অফিসারের সঙ্গে দেখা হলো সেখানে, সে প্রচণ্ড ক্ষুদ্ধ। এটা পরিষ্কার যে আফস্পা ১৯৫৮ তার বৃত্ত সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। এখন এটা মণিপুরের জনগণের সাথে সাথেই কেন্দ্রীয় সরকারের সশস্ত্র বাহিনীর কাছেও অভিশাপ।’

লাইফুঙবাম চাণ্ডেল জেলার পারাওলন সহ অন্যান্য গ্রামে মানুষের খবর জানতে না যাওয়ায় মণিপুরের সাংবাদিকদের তুলোধনা করেছেন।