- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

ভুয়ো সংঘর্ষে মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ, কিন্তু ঘাতক সৈন্যদের শাস্তির সুপারিশ করল না মণিপুর হাইকোর্ট

সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ২৬ সেপ্টেম্বর#

২০০৪ সালে আসাম রাইফেলের সেনাদের হাতে নিহত থাংজাম মনোরমার মৃতদেহ। এটাও ভুয়ো সংঘর্ষে মৃত্যু।
২০০৪ সালে আসাম রাইফেলের সেনাদের হাতে নিহত থাংজাম মনোরমার মৃতদেহ। এটাও ভুয়ো সংঘর্ষে মৃত্যু।

১৯৫২ সালের কমিশন অব এনকোয়ারি আইন মোতাবেক প্রচুর তদন্ত কমিশন হয়েছে, কিন্তু তাদের রিপোর্টও প্রকাশ হয়নি, সরকার রিপোর্ট মেনে কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি — মণিপুরের বেআইনি হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারগুলির সংস্থা ইইভিএফএএম-এর তরফে এদিনা ইয়াইখম ১৩ সেপ্টেম্বর এই কথা বলেছেন।
এদিনা আরো বলেন, তথ্যের অধিকার আইনে চাইলেও রাজ্য সরকার সেই রিপোর্ট দেখায় না।
ইইভিএফএএম ভুয়ো সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর হাতে মৃতদের পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে মণিপুর হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। কিন্তু একই সাথে তারা জানিয়েছে, আদালত ঘাতক সেনাদের বিরুদ্ধে অপরাধ আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেনি, যদিও এই ব্যাপারে বিশেষভাবে আবেদন করা হয়েছিল। এটা হতাশাজনক।
এদিনা বলেন, সুপ্রিম কোর্টে মণিপুরের ১৫২৮টি ভুয়ো সংঘর্ষের মামলা চলাকালীন ইইভিএফএএম আবেদন জানিয়েছে, অন্তত ২৭টি তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট গোচরে আনার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে যেন মণিপুর সরকারকে নির্দেশ দেয়। মণিপুর সরকার মাত্র ১৮টি রিপোর্ট জমা দিতে পেরেছে। ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল অবধি বাকি ন’টি ঘটনার রিপোর্ট জমা দিতেই পারেনি সরকার। ১৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে ফের শুনানি শুরু হবে।