- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

বাংলাদেশ আপডেট : ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীতে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব

সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ৭ মে#

ব্লগার এণ্ড অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়র্কের সূত্রে পাওয়া ছবিতে ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীর নমুনা :

রাতে শাপলা চত্বর ছেড়ে যাচ্ছে হেফাজতের কর্মীরা, যারা দেশের প্রান্তিক এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র বই আর কিছু নয়। এই সমাবেশে যোগ দিতে এসে খাবার এবং জলের অভাবে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
রাতে শাপলা চত্বর ছেড়ে যাচ্ছে হেফাজতের কর্মীরা, যারা দেশের প্রান্তিক এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র বই আর কিছু নয়। এই সমাবেশে যোগ দিতে এসে খাবার এবং জলের অভাবে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
শাপলা চত্বর থেকে চলে যাচ্ছে হেফাজতিরা।
শাপলা চত্বর থেকে চলে যাচ্ছে হেফাজতিরা।
হেফাজতের ঢাকা অবরোধে তাণ্ডবের নমুনা
হেফাজতের ঢাকা অবরোধে তাণ্ডবের নমুনা

 

হেফাজতের ঢাকা অবরোধে তাণ্ডবের নমুনা
হেফাজতের ঢাকা অবরোধে তাণ্ডবের নমুনা

সাভারে পোশাক শ্রমিকদের গণমৃত্যু তাদের থমকাতে পারেনি একফোঁটাও। বাংলাদেশে ধর্মীয় শাসনের প্রবক্তাদের নয়া কিসিমের সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীকে ঘিরে আবার অশান্ত হলো গোটা বাংলাদেশ। এর আগে এই সংগঠনটি এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা পর্যন্ত ‘লং মার্চ’ কর্মসূচী নিয়েছিল। তাতে সারা দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে ছাত্রদের ওপর নির্দেশ জারি করে, তাদের মিথ্যে কথা বলে উসকিয়ে ঢাকা নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ওই লং মার্চ প্রতিহত করার জন্য বিভিন্ন সংগঠনের প্রস্তুতি ছিল। বেশ কিছু সংগঠন হরতাল ডেকে দিয়েছিল। সরকার থেকে দূরপাল্লার সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে অন্যান্য জায়গা থেকে হেফাজতে ইসলামের ক্যাডাররা ঢাকা আসতে না পারে। তবুও কয়েক লক্ষ লোক জোগাড় করে ঢাকার রাস্তা দখল করেছিল হেফাজত।

এবার সরকার বা অন্যান্য সংগঠনগুলির সে প্রস্তুতি ছিল না। তার ওপর জামাত এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অত্যন্ত নগ্নভাবে হেফাজতে ইসলামের পক্ষে দাঁড়িয়ে গেছে। বিএনপি-র পক্ষ থেকে কয়েকদিন আগে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকার গঠনের ডাক দেওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদসূত্রে যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বোঝা যায়, ঢাকার ঢোকার বিভিন্ন রাস্তা জুড়ে অবরোধ কর্মসূচী শুরু হয়ে যায় ৫ মে সকাল থেকেই। গাড়ির ওপর মাইক খাটিয়ে সমাবেশ শুরু হয়ে যায় আবদুল্লাপুর, যাত্রাবাড়ি, বাবুবাজার পোস্তগোলা, নারায়ণগঞ্জ এবং সাভারের আমিনবাজার এলাকায়। যাত্রাবাড়ি এবং ডেমরা-তে পিকেটিং করে চট্টগ্রাম এবং সিলেটকে ঢাকা থেকে আলাদা করে দেয় তারা। ডেমরা-তে সিনেমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলাম তেরো দফা দাবি জানিয়েছিল সরকারের কাছে। সেই দাবিগুলি বারবার মাইক থেকে জানান দেওয়া হচ্ছিল। তেরো দফা দাবি দেওয়া হয় এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের লং মার্চের সময়ই। দাবিগুলি হল :

১। সংবিধানে ‘আল্লাহ্‌র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরান-সুন্নাহ্‌ বিরোধী সকল আইন বাতিল করতে হবে। ২। আল্লাহ্‌, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে। ৩। কথিত শাহবাগী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-র শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী কুলাঙ্গার ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে। ৪। ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সকল বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। ৫। ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৬। সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ৭। মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। ৮। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে। ৯। রেডিও, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে। ১০। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণসহ সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ১১। রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র এবং তৌহিদী জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। ১২। সারা দেশের কওমী মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। ১৩। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সকল আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তিদান, দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদেরকে বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

এই দাবিগুলির তীব্র বিরোধীতা করে মহিলাদের সংগঠনগুলি। কিছু মহিলা সংগঠন ২৭ এপ্রিল মিছিলের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু সাভার ট্র্যাজেডির কারণে তা পিছিয়ে ৯ মে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়।

যাই হোক, গোটা ঢাকাকে আশেপাশের এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ চালাতে শুরু করে হেফাজত কর্মীরা। নয়াবাজার এবং আমিনবাজার এলাকায় পুলিশ হেফাজতের অবরোধকে কিছুটা প্রতিরোধ করছিল। ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারামের মধ্যে দুটি মোটর সাইকেলে আগুন দেয় হেফাজতের কর্মীরা। সকাল এগারোটার সময় হেফাজতের কর্মীদের মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সভা করার অনুমতি দেয় সরকার। এই ঘোষণা হওয়ার পরই পুলিশ এবং র‍্যাবের সঙ্গে হেফাজত কর্মীদের মারপিট বাড়তে থাকে।

প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগের কিছু নেতা কর্মী গত একমাস ধরে হেফাজতে এবং জামাত-শিবিরের সঙ্গে মারপিটে সামিল হলেও আওয়ামি লিগের পরিচালনাধীন সরকার হেফাজতের প্রতি বেশ নরম। এর আগে হেফাজতে ১৩ দফা দাবি সনদ দিয়ে লং মার্চ করার পরপরই কয়েকজন ব্লগারকে জেলে পোড়ে হাসিনা সরকার, হেফাজতের দাবি মেনে। গত শুক্রবার শেখ হাসিনা হেফাজতের নেতাকর্মীদের বার্তা দেন, তাদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে। তারা যেন সমাবেশ প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু হেফাজতে তাতে বিন্দুমাত্র না দমে গিয়ে ঢাকা অবরোধের কর্মসূচী বহাল রাখে। যদিও হেফাজতের প্রধান আল্লামা শফি নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে অবরোধে যোগ দেননি।

সারাদিন গোটা ঢাকা জুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে, গাড়ি জ্বালিয়ে, বাড়ি পুড়িয়ে, ভাঙচুর করে, পুলিশের দিকে ককটেল আর বোমা ছুড়ে, দোকানপাট লুটপাট করে সন্ধ্যেবেলা মতিঝিলে সমাবেশ শুরু করার পর হেফাজত ঘোষণা করে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা শাপলা চত্বর থেকে নড়বে না। রাত আড়াইটে নাগাদ দশ মিনিটের অভিযান চালিয়ে পুলিশ ও র‍্যাবের মিলিত বাহিনী হেফাজতে কর্মীদের ঢাকা থেকে বাইরে বের করে দেয়। এই অভিযান চলাকালীন কাঁদানে গ্যাস বা লাঠি ছাড়াও গুলিও চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। তাতে উপস্থিত সাংবাদিকদের হিসেব অনুযায়ী মারা যায় সাত জন। সারা দিন হেফাজতের তাণ্ডবের সময় তিনজন মৃত্যুর খবর আসে, তার মধ্যে একজন পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর।

ভোর পাঁচটায় শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চও ভেঙে দেয় পুলিশ, যদিও সেখানে কোনও হিংসার চিহ্ন ছিল না। মঞ্চ থেকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়নি। পরদিন রাত বারোটা পর্যন্ত ঢাকায় সভা সমিতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা মেনে নেয় গণ জাগরণ মঞ্চ।

হেফাজতের নেতারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকার মাদ্রাসাগুলি থেকে ছাত্রদের নিয়ে এসেছিল, এবং দিনভর তাদের উসকানো হয়েছে হিংসা ছড়ানোর জন্য। কালের কন্ঠ পত্রিকার একটি সংবাদ প্রতিবেদনে তার উল্লেখ পাওয়া যায়। এক ছাত্র, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কওমি মাদ্রাসার বছর ষোলো-র আমিনুল পরিষ্কার বলে দেয়, ‘হুজুর আমাগো ধোঁকা দিছে’ :

‘মাদ্রাসার হুজুর আমাগো ধোঁকা দিছে, মিছা কথা কইয়া ঢাকা আনছে। হুজুরের কথায় আর আসুম না। হুজুর কইছে ঢাকায় বড় ওয়াজ মাহফিল হইব আর আমরা বইসা শুধু শুনমু। হুজুরের কথায় মাদ্রাসার দেড় শ ছাত্র আমরা ঢাকায় আসি, কিন্তু ঢাকায় আইয়া দেখি একেবারে যুদ্ধ লাইগা গেছে। একটুর লাইগ্যা মাথায় গুলি লাগে নাই।

আরেকটি রিপোর্টে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১৪-১৫ বছরের এক ছাত্র বলে, এই জনমত আর আইসতাম ন ঢাহা শহরত(এই জন্মে আর আসবোনা ঢাকা শহরে) :

‘মাদ্রাসার হুজুর আঁরারে মিছা কথা কইয়ি(মাদ্রাসার হুজুর আমাদের মিথ্যা কথা বলেছে)। আঁরারে টিঁইয়া দেয়নর কথা আছিল(আমাদের টাকা দেবার কথা ছিল)। রাতুয়া যেঁত্তে বৃষ্টির নান গুলাগুলি শুরু হইয়ে, বুম মারের হেঁত্তে কোনো হুজুররে ন দেখি(রাতে যখন বৃষ্টির মত গোলাগুলি শুরু হয়েছে, বোম মারা শুরু হয়েছে তখন কোনো হুজুরকে দেখিনি)। আঁরা দুড়িয়েরে ধাই হেডেত্তুন(আমরা দৌঁড়ে পালিয়েছি ওখান থেকে)। দুইজন কালা পুলিশ (র‍্যাব) আরারে ১০০০টিইয়া দিইয়ি যাইবাগুল্লাই(দুইজন র‍্যাব আমাদের ১০০০টাকা দিয়েছে চলে যাওয়ার জন্য)। অহন থিয়ায় রই, ট্রেন আইলি যাইয়ুমগুই(এখন দাঁড়িয়ে আছি, ট্রেন আসলেই চলে যাবো)। এই জনমত আর আইসতাম ন ঢাহা শহরত(এই জন্মে আর আসবোনা ঢাকা শহরে)।

ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীকে কার্যত হিংসা ছড়ানোর একটা কর্মসূচীতে পরিণত করেছিলেন নেতারা। মাইকে কী বলা হচ্ছিল, তার একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়, ইন্টারনেটে হেফাজতে ইসলামের ফেসবুক পেজ-এ পরপর আপডেটগুলি থেকে। সেগুলি একজায়গায় জড়ো করে প্রকাশ করেছে নীড়পাতা নামে একটি ব্লগ : নিচে সেগুলির নমুনা দেওয়া হলো :

হেফাজতের এই তাণ্ডবে পূর্ণ মদত দেয় জামাতে ইসলাম এবং ছাত্র শিবির ও বিএনপি। ঘটনার পরদিন সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হেফাজতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, এতে তিরিশ জনের বেশি মারা যায়। বিএনপি এবং হেফাজত প্রচার করতে থাকে, হাজার হাজার লোককে যৌথ অভিযানে মেরে ফেলা হয়েছে। ৮ ও ৯ তারিখ ১২ ঘন্টা করে বনধের ডাক দেয় বিএনপি। হেফাজতের এক কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়। শাহবাগের গণ জাগরণ মঞ্চ ঘটনার পরদিন সারাদিন কোনও কিছু না করলেও, রাত বারোটায় যখন সভা সমিতির ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা স্থগিত হয়, তখন থেকে ফের প্রজন্ম চত্বরে চলে আসার আহ্বান জানায় সবাইকে। ৭ মে বিকেলে হেফাজতের তাণ্ডবের প্রতিবাদে মিছিলের ডাক দেয় গণজাগরণ মঞ্চ।