- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

প্লাবিত উত্তরাখণ্ডে পচা মৃতদেহের দূষণে গ্রামে রোগ ছড়াচ্ছে

সোমনাথ চৌধুরি, ২৬ জুন#

দুর্গত যাত্রী ও গ্রামের মানুষদের জন্য ভান্ডারা রান্না চলছে। ত্রাণের একটি উদ্যোগের ফেসবুক পেজ থেকে ছবিটি নেওয়া।
দুর্গত যাত্রী ও গ্রামের মানুষদের জন্য ভান্ডারা রান্না চলছে। ত্রাণের একটি উদ্যোগের ফেসবুক পেজ থেকে ছবিটি নেওয়া।

বন্যা বিদ্ধস্ত উত্তরাখন্ডে মহামারীর আশঙ্কা সত্যি হতে চলেছে। ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর স্বাস্থ্যশিবিরে গ্রাম থেকে আসা কয়েকশ’ মানুষের মধ্যে জ্বর, ডায়রিয়া ও বমির উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।সোমবার ও মঙ্গলবারে কেদারনাথ উপত্যকার গুপ্তকাশীর কাছে ছোট্ট একটি গ্রাম ‘রামনগর’ থেকে আসা রোগীদের মধ্যে ১২৮ জনের প্রবল জ্বর ও Gastro-intestinal Infection দেখা গিয়েছে। ITBP -র তিন সদস্য, যারা কেদারনাথ এ উদ্ধারকার্য্যে ব্যস্ত ছিলেন তাঁদেরও অসুস্থ হয়ে পরার খবর পাওয়া গিয়েছে। বিপুল সংখ্যায় পরে থাকা মৃতদেহের পচন ও তার থেকে জল দূষনের মাধ্যমে এই রোগ ছড়াচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা। যদিও ITBP,NDRF স্বাস্থ্যশিবির আয়োজন করে ওষুধপত্র দেবার ব্যাবস্থা করেছেন, কিন্তু তা অপ্রতুল হওয়ায় আরো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সহ কয়েকটি দল উত্তরাখন্ডে পাঠানো হচ্ছে। জলদূষন ঘটিত রোগের সবচেয়ে বেশী সংখ্যক মানুষের আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া গিয়েছে আলোয়ারপুর(হরিদ্বার), উর্বি(উত্তরকাশী) ও চন্দ্রপুরি(রুদ্রপ্রয়াগ)তে। আক্রান্ত মানুষদের মধ্যে বেশিরভাগই গ্রামের মানুষ, যারা পানীয় জলের চাহিদা মিটাবার জন্যে প্রাকৃতিক জলের উৎসগুলি ব্যাবহার করেন। কাজেই নদী, ঝর্ণার আসেপাসে পড়ে থাকা মৃতদেহের পচন থেকে দুষিত হওয়া জল খেয়ে স্বাভাবিকভাবেই অসুস্থ হয়ে পরছেন।ISDP এর মধ্যেই সমস্ত জেলার স্বাস্থ্য সমীক্ষার কাজ শেষ করবেন। আটটি অতিরিক্ত মেডিক্যাল টিম কে এই কারনে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে যাতে খুব কম সময়ের নোটিসে তাঁরা বন্যাদূর্গত এলাকায় পৌঁছে চিকিৎসার কাজ শুরু করতে পারেন।