- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

প্রকাশ পেল শারদ চিন্তন ও সপ্তপর্ণী

সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, মেটিয়াব্রুজ, ২৮ অক্টোবর#

হুগলি নদীর তীর ঘেঁষে শহর কলকাতার এক প্রান্তিক অংশ বদরতলা। হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের যৌথ বাসভূমি বদরতলা থেকে দীর্ঘ উনত্রিশ বছর ধরে প্রকাশিত হয়ে আসছে ণ্ণচিন্তন’ সাহিত্যপত্রিকা। সরকার পোষিত বদরতলা পাবলিক লাইব্রেরিও দীর্ঘ পনেরো বছর যাবৎ প্রকাশ করে চলেছে আর এক সাহিত্যপত্র ণ্ণসপ্তপর্ণী’। দুটি পত্রিকার শারদ সংকলন প্রকাশ পেল গত ২০ অক্টোবর শনিবার বদরতলা পাবলিক লাইব্রেরির পাঠকক্ষে। নির্ধারিত সময় থেকে বেশ কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও ছোট্ট পাঠকক্ষটি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগীত পরিবেশন করেন গীতা পাল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান সাংস্কৃতিক-সংগঠক নিখিলরঞ্জন জোয়ারদার, ণ্ণবাংলার সমৃদ্ধ অঙ্গন’ পত্রিকার সম্পাদক হৃষীকেশ পাল, মন্থন সাময়িকী পত্রিকার সম্পাদক জিতেন নন্দী এবং কবি বিশ্বজিৎ রায়। চিন্তন পত্রিকার পক্ষে সম্পাদক অঞ্জন পাল পত্রিকা প্রকাশ করতে গিয়ে তাঁদের যে লড়াই এবং শেষ পর্যন্ত সেই লড়াইতে জয়ী হয়ে পত্রিকা প্রকাশ করার কথা বলেন। সপ্তপর্ণীর পক্ষে সম্পাদক সুব্রত মজুমদারের বক্তব্যে ফুটে ওঠে লাইব্রেরির কর্মপ্রক্রিয়া, তার দিশা এবং সপ্তপর্ণীর মাধ্যমে তাদের সাহিত্য আন্দোলনে শামিল হওয়ার প্রসঙ্গ।

এরপর পত্রিকাদুটি প্রকাশ করেন নিখিলরঞ্জন জোয়ারদার। মোড়ক খুলে তা তুলে দেন কবি বিশ্বজিৎ রায়ের হাতে। অনুষ্ঠানে সম্মাননা জানানো হয় প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব সদানন্দ পাল এবং বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী বাসুদেব কর্মকারকে। বাসুদেব কর্মকার ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। সদানন্দ পালের হাতে মানপত্র, শাল এবং মিষ্টান্ন তুলে দেন তপন রায়। এই সম্মাননায় আপ্লুত সদানন্দ পাল অল্প কথায় বলেন তাঁর নাট্যচর্চার কথা, বদরতলা লাইব্রেরির কথা।
মঞ্চে উপস্থিত অতিথিরা তাঁদের বক্তব্যে চিন্তন, সপ্তপর্ণী তথা লিট্‌ল ম্যাগাজিন এবং মহেশতলা-মেটিয়াব্রুজের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা ও ভাবনা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি প্রশান্ত দাস ও কবি স্বপন কুমার সেন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন সনৎ মাঝি ও সম্প্রীতি সাঁপুই। এছাড়া বিভিন্ন সাহিত্য ব্যক্তিত্বের জন্মশতবর্ষ ও সার্ধশতবর্ষ উদ্‌যাপন নিয়েও কিছু আলোচনা হয়। বদরতলার সন্তান গণ-কবিয়াল গুরুদাস পালের জন্মশতবর্ষের প্রসঙ্গও আলোচনায় অগ্রাধিকার পায়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কথাকার শান্তনু ভট্টাচার্য।