- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

পরিবেশ দূষিত না করে দিব্যি ঘুরে বেড়ান

ইউরোপে বাইসাইকেল বহুল ব্যবহৃত। কিন্তু ভারতের কোনো শহরে বা শহরাঞ্চলে সাইকেল-চালকদের জন্য আলাদা করে পথ নির্দিষ্ট করা নেই।
ছেলেবেলার কথা মনে করুন। সে সময় কাছে-পিঠে সাইকেলেই ঘুরে বেড়াতাম না? বড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ভুলে গেলাম সে সব কথা। অথচ সাইকেল চড়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো এবং অপরিহার্য। আমরা মোটর সাইকেল আর ঝাঁ চকচকে মোটরগাড়ির দিকে ঝুঁকলাম। মোটরগাড়ির আধিক্যে আমাদের শহরগুলোতে যান-জট আর পরিবেশ দূষণ বেড়ে গেছে। সেই কারণে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাইকেল চড়াই বিকল্প এবং অনিবার্য। বাইসাইকেল যে পরিবেশ-দূষণমুক্ত, শুধু তা নয়, খরচের দিক থেকেও অনেক সাশ্রয় হয়।
কোপেনহ্যাগেন
সাইকেল-সংস্কৃতি ক্রমবর্ধমান।  বিশ্বে বাইসাইকেল-বান্ধব শহর হিসেবে প্রথমেই আসে কোপেনহ্যাগেনের নাম। এই শহরে প্রতিদিন পাঁচ লক্ষ লোক অর্থাৎ জনসংখ্যার ৩৬ ভাগ সাইকেলে চেপে অফিস, স্কুল ও কলেজে যাতায়াত করে। আশ্চর্যের বিষয়, কোপেনহ্যাগেন বিশ্বে সমস্ত শহরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, কারণ সেখানে পরিবেশ দূষণ অল্প, বিস্তৃত সবুজের সমারোহ এবং সাইকেল চলার আলাদা পথ আছে।
অ্যামস্টারডাম
বিশ্বের বাইক চালানোর রাজধানী। এখানে সবাই বাইসাইকেল চড়ে। স্যুট-টাই পরা লোকেরা, মহিলারা এমনকী পার্টিতে যাচ্ছে বাইসাইকেলে; প্রবীণ নাগরিকেরা এবং শিশুদের নিয়ে মায়েরা বাইসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে — এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য!
ট্রনডহাইম
বাইসাইকেলে লিফ্‌ট এখানকার নতুন সংযোজন
নরওয়ের একটি শহর ট্রনডহাইম। এখানে বেশি সংখ্যক লোককে বাইক চালাতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য একটি নতুন সংযোজন করা হয়েছে। এখানে একটি বাইসাইকেল উদ্ভাবন করা হয়েছে, যার নাম ‘ট্রাম্প’। এইটের সুবিধে এই যে প্যাডল না করেই খাড়াই পাহাড়ে ওঠা যায়। ডান-পা-পাদানিতে এবং বাঁ পা সাইকেলের প্যাডেলে থাকবে। এবার চালক একটা ইলেকট্রনিক কী-কার্ড কিনে তার সাহায্যে সাইকেল চালু রাখতে পারবে।
বিনামূল্যে সাইকেল
আমেরিকার অনেক শহর, যেমন পোর্টল্যান্ড এবং ওরেগাঁও সাইকেল-বান্ধব। এখানে একটা প্রোগ্রামই হচ্ছে ‘সাইকেল আরোহীর সংখ্যা বাড়ানো’, নিম্নবিত্ত বয়স্কদের ব্যবহারের জন্য বিনামূল্যে বাইসাইকেল দেওয়া হয়। (এ সম্বন্ধে আরও জানতে হলে দেখুন fractalenlightenment.com)
ভবিকা জাভেরি, অনুবাদ নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবিতে কোপেনহেগেন, আমস্টারডাম এবং চীনা তাইপেই-এর সাইকেল লেন এবং সাইকেল ব্যবহার। প্রথম দুটি ছবি ইন্টারনেট থেকে পাওয়া। তৃতীয় ছবিটি বর্ণালী চন্দের পাঠানো