- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

পরমাণু বিদ্যুতের বিরুদ্ধে বললেই সরকারি রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে’

সৌম্য বসু, কলকাতা, ২৮ ফেব্রুয়ারি#

কুডানকুলাম পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প বিরোধী আন্দোলনের বর্তমান হাল কী, সে বিষয়ে একটি আলোচনাসভা হয়ে গেল ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে র‌্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ঘরে। শুরুতে সুশান্ত দাশ কুডানকুলাম আন্দোলন নিয়ে একটি মূকাভিনয় করেন। তারপর সম্প্রতি কুডানকুলাম থেকে ঘুরে আসা মেহের ইঞ্জিনিয়ার, অমিতা নন্দী এবং বিশ্বজিৎ রায় দর্শকদের সাথে মত বিনিময় করলেন। এরপর ভারতে ও বিশ্বে পরমাণু বিদ্যুতের অবস্থা কী, সে বিষয়ে আলোচনা করলেন প্রফুল বিদোয়াই। সভা পরিচালনায় ছিলেন সমর বাগচী।
আলোচনায় অনেক বিষয়ের সঙ্গেই উঠে এল, কুডানকুলামের মৎস্যজীবীরা এই আন্দোলনে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নিয়েছে। এই প্ল্যান্টের দরুন তাদের রুজি রোজগারে বাধা পড়েছে, কারণ তারা যে এলাকা থেকে মাছ ধরে, তা পরমাণু প্ল্যান্টের কাছে হওয়ার দরুন সেই মাছ বিক্রি করতে পারছে না বিদেশে, সংক্রমণের ভয়ে। একজন শ্রোতা প্রশ্ন করেন, ভারতীয় বৈজ্ঞানিকরা এই পরমাণু বিদ্যুতের বিরুদ্ধে কিছু বলছেন না কেন? প্রফুল বিদোয়াই বলেন, যেহেতু বৈজ্ঞানিকরা সরকারি চাকরি করেন, সেই কারণে তাঁদের মুখ বন্ধ রাখা হয়েছে। যাঁরা বিরুদ্ধে বলতে চাইছেন, তাঁদের সরকারি রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে। সভার শেষে শ্রোতাদের মধ্যে অনেকেই কুডানকুলামের আন্দোলনের তহবিলে অর্থ সাহায্য করেন।