- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

জল পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে ষোলোবিঘার

১৫ জুন, খায়রুন নেসা, ষোলোবিঘা, মহেশতলা#

২০১২ সালের নভেম্বর মাসে পুড়ে যাওয়া ষোলোবিঘা বস্তির ছবি। দুর্বার কলম পত্রিকার অমর নস্করের সৌজন্যে পাওয়া।
২০১২ সালের নভেম্বর মাসে পুড়ে যাওয়া ষোলোবিঘা বস্তির ছবি। দুর্বার কলম পত্রিকার অমর নস্করের সৌজন্যে পাওয়া।

তিন-তিনটে টিউবওয়েল পেয়ে ষোলোবিঘার মেয়েদের মুখে হাসি ফুটেছে। কী কষ্টটাই না করতে হয়েছে জলের জন্য এতদিন। সেটা বোঝা যায় এখন আকড়া ফটকের নয়াবস্তিতে গেলে। ৪৫০টা পরিবার, আড়াই-তিনহাজার লোক। না আছে পানীয় জল, না আছে রান্না-বান্না-স্নানের জল। পনেরো-বিশ মিনিট হেঁটে গঙ্গায় গিয়ে জলের প্রয়োজন মেটাতে হয়। জোয়ারের জল বস্তিতে উঠে এলে সেই নোংরা জলেই কাজ সারে বস্তির মানুষ। পানীয় জলের জন্য ইটভাটায় গেলে মালিকদের মুখ শুনতে হয়। ঘরে ঘরে জ্বর, হাম আর চুলকানির মতো অসুখ লেগেই রয়েছে। আপাতত ষোলোবিঘা এই দুর্ভোগ থেকে কিছুটা মুক্তি পেয়েছে। এখন এখানে তিনটে টিউবওয়েল। একটা এনেছে ‘রাইট ট্র্যাক’, দুটো দীপা মুন্সি। আর মহেশতলা পুরসভা যে টাইমকলটা দিয়েছিল, সেটায় জল আসেনি। পুরসভার প্রজেক্টের দিক থেকে পাইপলাইন এসেছে বস্তিতে। কিন্তু পাহাড়পুর জলাধার থেকে লিঙ্ক পায়নি। যাই হোক, টিউবওয়েলগুলোর জল বেশ মিষ্টি, পান করা যায়। নয়াবস্তিতে পুরসভা একটা কল বসিয়েছে, রাইট ট্র্যাক একটা টিউবওয়েল বসিয়েছে। কিন্তু একটাতেও জল আসেনি।
ষোলোবিঘায় যে ৬১০টা ঘর পুড়ে গিয়েছিল, তার মধ্যে ৩৯০টা কমপ্লিট হয়েছে। মাটি থেকে অর্ধেক পর্যন্ত গাঁথনি করে দেওয়া হয়েছে। বাকিরা এখনও ছাউনি করেই আছে। এই বর্ষায় তাদের অবস্থা বেশ খারাপ। প্রতি বছরের মতো জলে ডুবে আছে বস্তি। জলনিকাশির কোনো ব্যবস্থা নেই। এক কোমর জল। বেশিরভাগ ঘরে জ্বর, হাম লেগেই আছে। ইউনিসেফের প্রজেক্টে রাইট ট্র্যাক স্বাস্থ্যশিবির করেছে।