- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

কংগ্রেস-সিপিএমের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই মারামারিতে পরিণত হয়নি

২৬ জুলাই, মুহাম্মাদ হেলালউদ্দিন, খড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ#

খড়গ্রাম থানার চাষের জমি। ফাইল ছবি শমীক সরকারের তোলা। ২০১১।
খড়গ্রাম থানার চাষের জমি। ফাইল ছবি শমীক সরকারের তোলা। ডিসেম্বর ২০১১।

২২ জুলাই নদিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ চার জেলায় ভোট হয়েছে। মুর্শিদাবাদ বরাবরই স্পর্শকাতর এলাকা, ভোটে মৃত্যুও হয় বেশি। কিন্তু তা হয় মূলত গঙ্গার পূর্ব পাড়ে, পশ্চিমে তেমন কিছু হয় না। এবারেও হয়নি। কান্দি মহকুমায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও মৃত্যুর কোনো খবর নেই। খড়গ্রাম থানার এড়োয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েত উত্তেজনাপ্রবণ। সেখানকার একটি বুথে একজন কংগ্রেস কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তাঁর পায়ে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। তাঁকে খড়গ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্বতীপুরের বুথে লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের বচসা শুরু হলে কেন্দ্রীয় সেনা তাদের বেধড়ক পিটিয়ে থানায় নিয়ে যায়। থানা থেকে পরের দিন কোর্টে চালান দেয়, সেখান থেকে জামিনে ছাড়া পায়। যে ছ-জন গ্রেপ্তার হয়েছিল, তাদের দুজন সিপিএমের, চারজন কংগ্রেসের।
শঙ্করপুরে কংগ্রেসিরা বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোট মারে বলে সিপিএমের অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোটকর্মী বলেন, ‘ভোট শান্তিতে হয়েছে। কিন্তু সে শান্তি শ্মশানের।’ সেনাবাহিনী যখন এড়োয়ালি থানায় পৌঁছায়, তখন এক দফা কিল-চাপড়ের পর্ব শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ভোট শুরু হওয়ার সময় আর পুলিশি তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে খড়গ্রাম বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল কোনো ফ্যাক্টর নয়। কংগ্রেস-সিপিএমের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও তা মারামারিতে পরিণত হয়নি।