- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

আড়াই বছর পর সামরিক কোর্টে ফেলানি হত্যার বিচার

সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ১৪ আগস্ট#

১৬ জানুয়ারি ২০১১ -র সংবাদমন্থনের পাতায় ফেলানি-র মৃত্যুর খবর।
১৬ জানুয়ারি ২০১১ -র সংবাদমন্থনের পাতায় ফেলানি-র মৃত্যুর খবর।

কোচবিহার জেলার বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম খিতাবের কুঠি সংলগ্ন সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পেরোতে গিয়ে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানি খাতুন। ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি সকালবেলা কাঁটাতার থেকে ফেলানির ঝুলন্ত দেহ সকলে দেখতে পায়। আড়াই বছর পেরিয়ে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর অভ্যন্তরে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে (জিএসএসসি) এই ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) কোচবিহারের আলিপুর রুটের সোনারি বিএসএফ ক্যাম্পের বিশেষ আদালত কক্ষে এই বিচার প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাগজপত্র দেখা হয়েছে। ডিআইজি পদমর্যাদার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অফিসাররাই এই বিচার প্রক্রিয়ার রায় দেবেন। ভারত বাংলাদেশ ছিটমহল কমিটির বাংলাদেশ শাখার মাধ্যমে ফেলানির বাবা ও অন্যান্য অভিযোগকারীদের কোর্টে হাজির করানোর চেষ্টা চলছে। ১৯ আগস্ট থেকে জিএসএসসি-তে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের বয়ান শোনার সম্ভাবনা আছে।
উল্লেখ্য যে, বিএসএফ-এর দাবি, রাতের অন্ধকারে বিএসএফ আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালাতে বাধ্য হয়। ফলত ফেলানির মৃত্যু ঘটে। কিন্তু খিতাবের কুঠির সাধারণ মানুষের বক্তব্য, ফেলানি নিরস্ত্রভাবেই পার হতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।