- সংবাদমন্থন - https://songbadmanthan.com -

‘আমরা ন্যায়বিচার চাই, আমরা ন্যায়বিচার চাই।’

নীলাঞ্জনা রায় ২২ ডিসেম্বর ধর্ষণের বিরুদ্ধে দিল্লির রাইসিনা হিলের সামনে এবং ইন্ডিয়া গেটে জনবিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। তার নিজের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি ইংরাজিতে প্রকাশ হওয়ার পর কাফিলা ডট অর্গ-এ তা পুনরায় প্রকাশ পায়। এখানে তার বাংলা অনুবাদ করেছেন শমীক সরকার। ছবি লেখিকার তোলা।#

raisina-lamp-justice11আমি রাইসিনা হিল এর প্রতিবাদে গিয়েছিলাম খুব কম আশা নিয়ে। ছ’জন পুরুষের একটি দলের এক ২৩ বছরের মেয়েকে গণধর্ষণ এবং তার বন্ধু ছেলেটিকে পেটানোর সাম্প্রতিক নিষ্ঠুর ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট রাগ হওয়া সত্ত্বেও, রাজধানীতে মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদের সংখ্যা তুলনায় কম।
কিন্তু যে ভিড়টা ইন্ডিয়া গেট থেকে রাইসিনা হিলের নর্থ ও সাউথ ব্লকের সরকারি অফিসগুলির দিকে এগোচ্ছিল, সেটি একটু অন্যরকম। তরুন তরুনীদের ভিড় — ছাত্র, যুবক, যুবতী — সকলেই বিশের কোঠায়, আর কিছুটা বয়সে বড়ো মহিলাদের একটা দল সংহতিতে। এবং এই ভিড়টা বেশ বড়ো। কেবল রাইসিনা হিলেই হাজারখানেক লোক। দুটি মাত্র ছোট্ট গ্রুপ ছাত্রদের রাজনৈতিক সংগঠনের, তা বাদ দিলে এখানকার বেশিরভাগ লোকই এসেছে স্রেফ রাগের বশে।
অনেকেই বলল, এটাই তাদের প্রথম প্রতিবাদ। কিন্তু, ‘এবারে বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে’। মেয়েরা উগরে দিচ্ছিল, কীভাবে তারা হিংসার শিকার হয়ে চলেছে। না ঘরে, না রাস্তায়, কোথাও তারা মুক্ত নয়। ছেলেরা বলছিল, কেন তারা রেপিস্টদের সঙ্গে একসারিতে বসতে চায় না। একজন তরুণ ছাত্র জানালো, কেমন অসহায় লাগে তার যখন সে দেখে তার এক বান্ধবী বা আত্মীয়া এর শিকার হচ্ছে। আরও লোক বাড়ছিল, আমিও বুঝছিলাম, দক্ষিণ দিল্লির নিরাপত্তাঘেরা কলেজ পেরিয়ে ফরিদাবাদ গাজিয়াবাদের কলেজগুলো থেকে ছেলে মেয়েরা আসতে শুরু করেছে। তাদের প্রায় প্রত্যেকেই ফেসবুক বা টুইটারে, বা কোনও বন্ধু মারফত খবর পেয়েছে, মূলধারার মিডিয়া মারফত নয়।
‘ধর্ষকদের ফাঁসি দাও!’, ‘ধর্ষণকারী পুরুষদের নির্বীর্যকরণ কর’
প্রতিবাদীদের অনেকেই ফাঁসির সাজার পক্ষে চিৎকার করছিল। কেউ কেউ সঅয়াল করছিল গণধোলাই-এর পক্ষে। ‘ওই ছ’জনকে আমাদের হাতে ছেড়ে দাও, আমরা ওদের দেখিয়ে দেব যন্ত্রণা কাকে বলে’ — বলছিল একটি কমবয়সী মিষ্টি মেয়ে, হাতে ‘সমস্ত ধর্ষণকারীদের ফাঁসি চাই’ ব্যানার ঝুলিয়ে। তার বান্ধবী দিল্লির গণধর্ষণের শিকার মেয়েটির অবস্থার কথা বর্ণনা করতে করতে কেঁদে ফেলছিল। প্রত্যেকের কথাতেই ধর্ষণের ঘটনাটির নিষ্ঠুরতা (ধর্ষকরা লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়ার ফলে মেয়েটির অন্ত্র স্থায়ীভাবে নষ্ঠ হয়ে গেছে) এক দুঃস্বপ্নের মতো করে আসছিল। কেউই অবশ্য মৃত্যুদণ্ডের মর্মার্থ বুঝে কথা বলছিল না; এক হৃদয় থেকে বলা, আবেগের প্রতিক্রিয়ায় আসছিল মৃত্যুদণ্ডের কথা।
‘ধর্ষকদের ফাঁসি দাও’ স্লোগানের সাথেই আসছিল ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই’-এর স্লোগান, আজকের এক প্রতিবাদের সকালটির প্রতীক সেটি। আর ছিল সরকার আর রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে রাগের গুমরে গুমরে ওঠা। শীলা দীক্ষিত, সোনিয়া গান্ধী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী — লোকে চাইছিল এরা আসুক বেরিয়ে, জনতার সঙ্গে কথা বলুক। হয়ত লোকে জানে না, তারা ঠিক কী চায় — নিরাপদ রাস্তা? মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসার অবসান? ধর্ষকদের ফাঁসি? কিন্তু তারা সত্যিই চাইছিল, যাই হোক, কেউ একটা এসে কথা বলুক তাদের সাথে — ‘নেমে এসো তোমাদের নিরাপদ অফিস থেকে, নিরাপদ গাড়ি থেকে, বেরিয়ে এসে দেখো, আমরা কীভাবে বেঁচে আছি’ — বলছিল একটি মহিলা। অনেকেই তার সাথে যোগ দিল।
‘পালটা ছুঁড়ো না, ওরা আমাদের দিকে যেন আঙুল তুলতে না পারে’
পুলিশ সকালে তিনবার প্রতিবাদীদের তাড়ানোর চেষ্টা করেছে। আমি প্রথম লাঠি চার্জ / কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার ঘটনাটার সময় ওখানে ছিলাম না। কিন্তু পরের দুটি ঘটল পরপরই, এবং প্রায় কোনও উসকানি ছাড়াই। একদম সামনে প্রতিবাদীদের দিকে মুখ ফিরিয়ে একসারি ছেলেমেয়ে প্রত্যেককে মনে করিয়ে দিচ্ছিল শান্তিপূর্ণ থাকার জন্য। ‘যা খুশি বল, যা খুশি গালাগাল দাও, কিন্তু কোনও হিংসা নয়’ — বলছিল একজন ছাত্র, যে ওই নেতাবিহীন, স্বতস্ফুর্ত প্রতিবাদের একজন নেতার মতো। আরও সকালে এই ভিড়ের থেকেই কেউ দিল্লি পুলিশের একটি বাসের জানলার কাঁচ ভেঙেছে, যার ফলেই মনে হয় প্রথম লাঠিচার্জ আর কাঁদানে গ্যাসের হামলাটি হয়েছিল।
যখন দিল্লি পুলিশের আরেকটি বাস ঠেলতে শুরু করল চারটে ছেলে, অন্যান্য প্রতিবাদীরা তাদের সঙ্গে সঙ্গে থামালো — ‘ওদের কোনও অজুহাত দিতে দিও না’, একজন বলল, কিন্তু বড়ো দেরি হয়ে গেছে তখন। বাসটি পিছিয়ে গেছে। কিন্তু জলকামান আর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটতে শুরু করেছে। পুলিশ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, এইটাই করা দরকার এই আপ্রাণ শান্তিপূর্ণ থাকার চেষ্টা করা প্রতিবাদী যুবকদের সাথে। আমরা সোয়েটার, শাল দিয়ে আমাদের মুখ ঢাকলাম। দৌড়তে শুরু করলাম। আমাদের আশেপাশে শেল ফাটতে শুরু করল। একজন যুবক একটি না ফাটা শেল পুলিশের দিকে ফেরত পাঠালে তাকে সবাই চিৎকার করে বলতে লাগল, ‘পালটা ছুঁড়ো না, ওরা যাতে আমাদের দোষ দিতে না পারে’।
তিন নম্বর কাঁদানে গ্যাসের ঘটনাটিও অনভিপ্রেত। পুলিশ ব্যারিকেডগুলো খুলল, একটা ফাঁকা জায়গা দিল। যখনই প্রতিবাদীরা সেই ফাঁকা জায়গাটাতে এগোতে গেল (অর্থাৎ টেকনিক্যালি রাষ্ট্রপতি ভবনের মধ্যে ঢুকে গেল), আবার শুরু হল জলকামান আর কাঁদানে গ্যাসের শেল। যদিও তাতে ভিড়টা একটু পিছু হটল, কিন্তু আবার সেটা ফিরে ফিরে আসতে লাগল। মনোভাবের কিছুটা বদল ঘটে গেল এর মধ্যে। স্লোগানে বেশিবেশি করে আসতে লাগল, ‘দিল্লি পুলিশ হায় হায়!’ এবং প্রতিবাদীদের কায়দারও কিছু নীরব বদল ঘটে গেল। একজন অতি-উত্তেজিত সাংবাদিক বলল, ‘পুলিশের দিকে পাথর ছোঁড়া হচ্ছে।’ সে ভুল বলছিল। কিছু প্রতিবাদী পুলিশের দিকে যা ছুঁড়ছিল, তা হল কয়েন। টিটকিরি দেওয়া হচ্ছিল পুলিশদের : তোমরা তোমাদের কাজ ঠিকভাবে করছ না আমাদের নিরাপদে রাখার জন্য, এই নাও ঘুঁষ, ঠিক করে কাজ কর। মাঝেমাঝেই প্রতিবাদীরা নিজেদের মধ্যে ইঙ্গিতে কথা বলে নিয়ে পুলিশের দিকে আঙুল দেখাচ্ছিল।
কয়েকটা ছেলে উঠে গেল ল্যাম্পপোস্টে, হাতে পোস্টার নিয়ে, ‘ধর্ষকদের ফাঁসি দাও’, ‘হিংসা বন্ধ কর’, ‘মেয়েদের সম্মান কর’। তাদের সকলে অভিনন্দন জানাল। এরপর একটি মেয়ে একটি ল্যাম্পপোস্টে উঠে গেলে আরও জোড়ে হাততালি। দ্রুত রাইসিনা হিলের কাছেই পার্কটির পাঁচটা লোহার ল্যাম্পপোস্টেই চড়ে পড়ল কমবয়সী মেয়েরা, বিভিন্ন ধরণের বার্তা নিয়ে। তাদের মধ্যে একজন, খুব জঙ্গী স্লোগান দিচ্ছিল যে, পুলিশের দিকে চুরি দেখাচ্ছিল। তার বার্তাটি হয়ত সবচেয়ে অ-নারীবাদী সুলভ, কিন্তু খুব পরিষ্কার — তোমরা এগুলো পরে থাকো দুর্বল মেয়েদের মতো। কারণ তোমরা তোমাদের কাজ করতে পারো না, ফলে তোমরা দুর্বল, মেয়েদের মতো। যারা প্রতীক খোঁজে, তাদের জন্য এইটিই আজকের প্রতীক হতে পারে।
প্রতিবাদ ছিল শান্ত, শান্তিপূর্ণ। একটা ছন্দে আসছিল। অনেকেই তাদের নিজেদের বানানো পথনাটিকা মঞ্চস্থ করছিল। এসবই চলছিল দুপুর ২:৩০ পর্যন্ত। এর মধ্যেই কাঁদানে গ্যাসের প্রকোপ কমে আসছিল। আমি অনুভব করছিলাম, এই ভিড়ে আমি কতটা নিরাপদ বোধ করছি, দিল্লির কয়েক দশক ধরে যে কোনও সার্বজনীন জায়গার তুলনায়।
বিকেল : একটি ভিন্ন জনতা
কিন্তু ভিড়টা বদলে যাচ্ছিল দ্রুত। এবং খুব অস্বস্তিকর দিকে। রাইসিনা হিলের একদম গায়ের ছাত্রদের প্রতিবাদ ঘিরে ফেলছিল পুলিশ আর মিডিয়ার বিরাট লাইন। তাদের পেছনে ভিড় জমাচ্ছিল আরও প্রতিবাদীরা, কর্মীরা। তারা আস্তে আস্তে টিভিতে দেখানো নজরকাড়া প্রতিবাদটির কাছে চলে যাচ্ছিল। সেই ভিড়ে আমি দেখতে পাচ্ছিলাম সব ধরনের রাজনৈতিক দলের কর্মীদের। তাদের মধ্যে অনেকেই এমন সব দলের, যেমন শিবসেনা, যারা কখনও মেয়েদের কোনও ইস্যু নিয়ে কিচ্ছু বলেনি, এখানে এসে জুটেছে টিভিতে মুখ দেখিয়ে সরকারকে গালমন্দ করার জন্য। মুখরোচক জিনিসের খোঁজে ঘোরে যারা, তারাও এসে জুটতে লাগল, তামাশা দেখার জন্য — টিভি চ্যানেল, ইন্ডিয়া গেটের সামনে শনিবার — এবং ভিড়ের রং-টা পাল্টাতে লাগল দ্রুত। যদি সকালে ছেলে আর মেয়েরা সমান সংখ্যায় থেকে থাকে, প্রতিবাদের সন্ধ্যেয় ইন্ডিয়া গেটের সামনে দেখা যেতে লাগল শুধুই পুরুষ মানুষ, আর কয়েকজন ছাত্র মনে হল।
সকালের প্রতিবাদ যতই বিভ্রান্ত হোক না কেন, তার নিজের মতো করেই তা ছিল চমৎকার, এবং নাড়া দেওয়ার মতো। এত তরুন তরুনী একটা কারণের জন্য হাজির হয়ে গেছে রাস্তায়। আরও নাড়া দেওয়ার মতো তাদের পরস্পরের প্রতি মমত্ববোধ। ‘তোমার জল লাগবে?’, ছেলেগুলো এসে বলছিল, ওদের নিজেদের চোখ দিয়েই তখন কাঁদানে গ্যাসের প্রকোপে জল গড়াচ্ছে। ‘আমার একটু বাড়তি জল আছে’, একজন মহিলা বলছিল, অন্যান্য মেয়েদের কাঁদানে গ্যাসের শিকার হতে দেখে তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে। ‘আরে আমার স্কার্ফটা নাও, আমার রুমালটা নাও, তোমার মুখটা ঢেকে নাও’। সকালের ভিড়টায় তিরতির করে ভাসছিল কথাটা, সবাই ঠিকঠাক আছে তো?
বিকেলে সেটা বদলে গেল। ইন্ডিয়া গেটে যখন ফের কাঁদানে গ্যাস ফাটতে শুরু করল, তখন আমি সেখানে। ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই’ কথাটা তখনও রাজপথে উপস্থিত, কিন্তু এখন কর্মীরা টিভি ক্যামেরা তাক করে অভিনয় করছে মাত্র; রাজনৈতিক দলের ক্যাডাররা দর্শকদের দিকে চেয়ে চেঁচাচ্ছে; আর রাইসিনা হিলে যা শুরু হয়েছিল পরস্পরের সাথে সম্পর্কহীন কমবয়সীদের একটা নিজেদের কোনও এজেন্ডাবিহীন স্বতস্ফুর্ত সংহতি হিসেবে, তা একটা বিশৃঙ্খলায় পর্যবসিত হয়েছে। সকালে কোনও রাজনৈতিক নেতা, কোনও সরকারি কর্তা নর্থ বা সাউথ ব্লকের দোরগোড়ায় নেমে আসেনি তাদের সঙ্গে কথা বলতে। এবং বিকেলে যদি সেখানে কেউ এসে থাকে, তবে সে কথা বলবে সম্পূর্ণ একটা অন্যধরনের জনতার সঙ্গে। আমি আশা রাখি, অলসদের উঁকিঝুঁকি দেওয়া বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। এবং দিল্লির অন্যান্য প্রতিবাদীরা, যারা ইস্যুটাকে টিভি ক্যামেরায় নিজেদের মুখ দেখানোর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন, তারা এই কমবয়সী আবেগপূর্ণ ভিড়টার সঙ্গে যোগ দেবেন।
দিনের প্রিয়তম মুহুর্ত : প্রথমবার কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটার পর, আমরা যখন একটা বিপর্যস্ত মেয়েকে সাহায্য করার চেষ্টা করছিলাম, তার বন্ধু উঠে দাঁড়িয়ে বলল, ‘এই তাহলে দিল্লি পুলিশের স্লোগান, ‘তোমাদের সাথে, তোমাদের জন্য, সদাসর্বদা তোমাদের গ্যাস দেওয়ার কাজে’। আরেকটি মেয়ে বলল, ‘ইয়ার, কিরকম হেরোর দল দেখো ওরা। পুরো হেরো (হোয়াট এ বাঞ্চ অব লুজারস দে আর। টোটাল লুজার্স।)। ভিড়টা কথাটাকে ধরল। ভারতীয় ইতিহাসে এই প্রথম হয়ত কাঁদানে গ্যাস খাওয়া জনতা পুলিশের দিকে ফিরে গাইতে থাকল, ‘হেরো, হেরো, তোরা হেরোদের দল’ (লুজার্স, লুজার্স, তুসসি লুজার্স লোগ হ্যায়)।
খুব করুন শুনতে। সত্যিই এই প্রতিবাদীদের মধ্যে কিছু আশ্চর্যজনক ব্যাপার ছিল। তাদের বার্তা ছিল মিশ্র। এবং গড় রাজনৈতিক বা সমাজকর্মীদের কার্যক্রমের মতো তার কোনও বাঁধুনি ছিল না। কিন্তু কিছু পরিবর্তন ঘটানোর জন্য তাদের চেষ্টা এবং উৎসাহে কোনও ফাঁকি ছিল না। তাদের নিজেদের নিয়ে অনেক কিছুই বলার ছিল। আমি ভাবিনি শনিবারের সকালটা কাটাবো রাইসিনা হিলে। কিন্তু আমি খুশি সেদিন ওখানে হাজির হয়েছিলাম বলে।